আল-ফেরদৌস (রানা) ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: “গাছ মানুষের পরম বন্ধু, আসুন গাছ লাগাই, পরিবেশ বাঁচাই”; “আমাদের রোপিত গাছ মুজিববর্ষকে রাঙিয়ে তুলবে, বাংলাদেশকে সাজিয়ে তুলবে” -এ শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক সারাদেশে একযোগে ১ কোটি বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচীর আওতায় বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৬-০৭-২০২০ রোজ :বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ এর প্যানেল প্রত্যাশী কমিটি ঠাকুরগাঁও জেলার উদ্দেগ্যে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আলোর দিশারী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর আয়োজন করে।এই সময় প্রধান অতিথি হয়ে আলোর দিশারী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেন আলোর দিশারী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক জননেতা মো: মাজহারুল ইসলাম সুজন।
আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ এর প্যানেল প্রত্যাশী কমিটি ঠাকুরগাঁও জেলার সভাপতি মোঃ ফজলুল করিম, সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুস সালাম সহ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী কমিটি, ঠাকুরগাঁও জেলার সকল সদস্য বিন্দ।।
বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর শেষে সুজন বলেন,পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে একটি দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ এলাকায় বনভূমী থাকা প্রয়োজন।
প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষন বনজ দ্রব্যবের চাহিদা পুরন ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পিত ভাবে পর্যাপ্ত গাছ লাগানো একান্ত প্রয়োজন।গন পর্যায়ে বৃক্ষরোপন কেবল পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার্থে এবং ফলমূল ও বনজ দ্রব্য দেশকে স্বনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করবে না বরং ব্যক্তি পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ বিধানে অনুকূল ভুমিকা পালন করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।আমি ধন্যবাদ জানায় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০১৮ এর প্যানেল প্রত্যাশী কমিটি কে এত সুন্দর আয়োজন করার জন্য।
ঠাকুরগাঁও জেলার প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম বলেন, প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ এর লিখিত পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণ করে ২৪ লাখ পাঁচ জন। অংশগ্রহণের দিক থেকে এটি সর্বোচ্চ সংখ্যক। এর মধ্যে থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ৫৫ হাজার ২২৯ জন। শতকরা পাসের হার ২.৩। ভাইবা পরীক্ষা শেষে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জন। আর অবশিষ্ট ৩৭১৪৮ ভাইবায় পাশ করার পরও নিয়োগ বঞ্চিত হয়।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ২০১৪ এ একটি মামলা জনিত কারণে চার বছর নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যার কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হই। আমরা যারা স্বপ্ন দেখতাম প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হব, গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর ২০২০ সাল পর্যন্ত মাত্র একটা নিয়োগ পেয়েছি। যার কারণে আমাদের অধিকাংশের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে। আর আমরা সবাই মেধাবী। লিখিত পরীক্ষায় আমরা আমাদের মেধার প্রমাণ দিয়েছি। তাই আমরা ৩৭১৪৮ জন প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মার্চ থেকে ক্লাস বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সারাদেশে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষক সংকটে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন। তাই করোনা পরিস্থিতির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও শিক্ষক সংকট দূর করতে প্যানেলে নিয়োগ উত্তম পন্থা। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক প্যানেলে নিয়োগ দেওয়ার জন্য।